Saturday, July 13, 2013

নিখোঁজ শূণ্যতা

কখনো বিষন্ন দুপুরে- অকারনে ঘুম ভেঙ্গে যায়। জেগে দেখি, বুকের মাঝে নিখোঁজ শূণ্যতারা বসতি গড়ে তুলছে, অবিরাম। শনের চালা, সুতলি, বাঁশের খুটি….. সারাক্ষন কেবল ঠুকঠুক শব্দ আর বুক জুড়ে নি:স্বদের নির্মানাধীন বসতির গন্ধ! এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা তাদের অস্তিত্ব, অসহনীয় করে তুলে জীবনকে।
একদিন তারা ফেরারী হয়, নিখোঁজ হয়। অকারনে দুর্বা ঘাসে আবারও শিশির জমে ওঠে। লাল আভায় উদ্ভাসিত শিমুল তখন নতুন দিনের কথা বলে, অথচ পাহাড়ি নদের জল কমে গেলে, নি:স্ব শরতে শূন্যতারা আবার ফিরে আসে, দল বেঁধে।
তারপরও কখনো কখনো বিষন্ন রাতে- শিউলি গাছের ফাকে রোদ্রুর খেলা করে। আমি বাঁশ বাগানের শরশর শব্দের ওপর ভর করে কবিতা লিখে যাই। এক শরতের গল্পকথা অন্য শরতে এসে আঁকার চেষ্টা করি শিমুল তলে। হয়না আঁকা কভু। তারা ক্ষীন শব্দে মুছে যায় প্রতিধ্বনি তুলে…..।
রঙিন সবকিছু এখানে। মানুষ, যান চলাচল, পাহাড়ি গন্ধ, বাঁশের চালা… কিংবা দালান কোঠা, অনুভব। রঙিন সব কিছুর মাঝে রঙহীন আমি তবু নি:স্ব রই। হয়তো নিজেও আমি এক নিখোঁজ শূণ্যতা। বসতি বদলে হারিয়ে যাচ্ছি ক্ষনে ক্ষনে।

No comments: